বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবাদ ইভেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সারা বিশ্বের শত কোটি চোখ এখন দেশটির নির্বাচনি ফলাফলের দিকে। নির্বাচনের উত্তেজনা-আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে আছড়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
বিশ্বজুড়ে যারা আগ্রহভরে টিভি কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছেন, তাদের প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হওয়ার পথে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
তবে রিপাবলিকান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়নি। অঙ্কের হিসাবে এখন পর্যন্ত তারও ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন ও এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মিশিগানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় পেয়েছেন বাইডেন। এই জয়ের ফলে সব মিলিয়ে বাইডেনের সম্ভাব্য ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৪। আর ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন সম্ভাব্য ২১৪ ভোট। মোট ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ২৭০ ভোট। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ছয়টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যেই দুই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে। শেষ ছয়টি রাজ্যে এখন ঝুলে রয়েছে তাদের ভাগ্য।
সিএনএন বলছে, এই অঙ্গরাজ্যগুলো অ্যারিজোনা, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও আলাস্কা। এর মধ্যে নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ৮৬ শতাংশের বেশি ভোট গণনা শেষ। এই অঙ্গরাজ্যেও এগিয়ে আছেন বাইডেন। তিনি ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, বিপরীতে ট্রাম্পের ভোট ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এখানে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ৬টি।
এদিকে পরাজয় আভাস পেয়ে ট্রাম্প শিবিরে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সুইং স্টেট উইসকনসিনের ভোট পুনর্গণনা করার আবেদন করবে বলে জানিয়েছে তারা।
আর রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়াতে ভোট গণনা বন্ধের দাবিতে মামলা করেছে রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা শিবির। ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপ অবশ্য অনুমিতই ছিল। কারণ, শুরু থেকেই তিনি আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
তবে নিজেকে এখনই বিজয়ী বলতে নারাজ বাইডেন। ভোট গ্রহণ শেষে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে দেওয়া আনুষ্ঠানিক এক ভাষণে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বলেন, ‘আমি এখানে বিজয় ঘোষণা করতে আসিনি। কিন্তু বলতে এসেছি, ভোট গণনা শেষ হলে আমার বিশ্বাস আমরাই জিতব।’