রাজধানীর মগবাজারের নয়াটোলায় একটি ভবনের এক ফ্ল্যাট থেকে বাবা ও কিশোর ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে দুজনের লাশ উদ্ধারের কথা জানান হাতিঝিল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম আজম।
নিহতরা হলেন, খাইরুল ইসলাম সোহাগ (৫৫) ও তার ১৪ বছর বয়সী ছেলে শাহারাত ইসলাম আরিন।
সোহাগের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় জানিয়ে গোলাম আজম বলেন, সন্ধ্যার পর বাবা-ছেলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, সোহাগ পিডব্লিউডির একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। তার একমাত্র ছেলে আরিন প্রতিবন্ধী ছিলেন।
সোহাগের স্ত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আজম জানান, সকাল ৯টায় স্বামী-সন্তানকে রেখে স্ত্রী বাজারে যান। বেলা ১টার দিকে ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজনকে ডেকে আনেন। পরে দারোয়ান বাড়িওয়ালার কাছ থেক বিকল্প চাবি এনে দরজা খুলে দুইজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
বাবা পাঁচ তলার ওই ফ্ল্যাটের ড্রইং রুমে এবং ছেলে বেড রুমে গলায় নিজের লুঙ্গি পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলছিলেন বলে পরিদর্শক গোলাম আজম জানান।
সোহাগের স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে ঠিকাদারিতে ‘কয়েক কোটি টাকা’ ক্ষতি হয়েছে সোহাগের। এ কারণে গত দুই বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এজন্য তাকে মানসিক চিকিৎসাও নিতে হয়েছে।
নিজের অসুস্থতা, ছেলে প্রতিবন্ধী, ব্যবসায় ক্ষতি এসবের কারণে হতাশায় তিনি ‘চলো আমরা তিনজনে মিলে আত্মহত্যা করি’ বলে স্ত্রীকে প্রায় সময়ই প্ররোচিত করতেন।