হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এছাড়া মহাসচিব হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নূর হোসাইন কাসেমী।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় মিলনায়তনে আয়োজিত সম্মেলনে তাঁকে আমির নির্বাচিত করা হয়।
হেফাজতের আমির নির্বাচিত হয়ে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আমি এ পদ গ্রহণ করতে চাইনি। মুরুব্বিরা জোর করে এ দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন এ দায়িত্ব পালন করতে পারি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজত আমীরের মৃত্যুতে সংগঠনটির আমীরের পদ শূন্য হয়। এর আগে গত কয়েক বছর ধরে মাওলানা আনাস অনুসারীদের সঙ্গে মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর দ্বন্দ্ব ছিল চরমে। যার সূত্র ধরে চলতি বছরের জুন মাসে হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালকের পদ থেকে বাবুনগরীকে সরিয়ে দিয়ে মাওলানা শেখ আহমদকে সে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
এরই জের ধরে গত সেপ্টেম্বরে হাটহাজারীতে টানা দুই দিন ছাত্র বিক্ষোভের মুখে আল্লামা শফী স্বেচ্ছায় হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং আনাস মাদানীকে অব্যাহতিসহ বেশ কিছু সিদ্ধাস্ত নেন মাদ্রাসার মজলিসে শূরা। এর একদির পরই মুত্যুবরণ করেন আল্লামা শফী। তখন থেকেই হাটহাজারী মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামে একক প্রভাব বাড়ে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর। এরপর থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েন যান আনাস অনুসারীরা।