সমাজের চোখে মানুষ গড়ার কারিগর হলো শিক্ষক কিন্তু পায়ব হাজী আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন নিজেই এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি, বিদ্যালয়ের প্রায় ১২ লক্ষ্য টাকা আত্বসাত, ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও শারিরীকভাবে নির্যাতন, সুন্দুরি ছাত্রীদের কু-প্রস্তাভ, প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সাথে দুর্ব্যবহার, তার কাছে কোচিং না করলে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার, মানসিকভাবে নির্যাতন ও শারিরিভাবে মারধর করেন, আরও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এ আনোয়ার হোসেন।
পায়ব হাজী আঃ গনি উচ্চ
বিদ্যালয়ের একজন অবিভাবক ম্যানেজিং কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক
আনোয়ার হোসেন তার মেয়েকে রুমে ডেকে নিয়ে অন্যায়ভাবে মারধর করেন, রিফাত জাহান নামক
আর এক ছাত্রী অভিযোগ করেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাব
দেয় এবং পরবর্তীতে তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয় এ আনোয়ার হোসেন।
তার এ বিভিন্ন অনিয়মের জন্য গ্রামের শিক্ষিত যুব সমাজ
প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক মামলা দেয় এ আনোয়ার হোসেন এবং তার
এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে গ্রামে তার ৩ জন বউ আছে আর এ ৩জন বউ তার সাবেক ছাত্রী ছিল, তাতে প্রমান হয় সে
ছাত্রীদেরকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং যারা রাজি হয়র তাদের সে
বিয়ে করে, যার রাজি না হয় তাদের সে বিভন্ন হয়রানি করে।
গত ১৭ই জানুয়ারী কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সামনে থেকে ভিন্ন এক
পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে পায়ব
হাজী আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলামকে অপহরন হয়, এ
ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে জানা যায়- পায়ব হাজী আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিস্কৃত
প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং বহিস্কৃত সহঃ প্রধান শিক্ষক মোঃ আশ্রাফ আলি দুইজন
জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে পায়ব
হাজী আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ১২ লক্ষ্য টাকা আত্বসাতের রিপোর্ট আছে যা হিসাব দিতে
পারেনি অভিযুক্ত ২ ব্যাক্তি।
এরি সূত্র ধরে পায়ব হাজী আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম ও স্কুলের
পিয়ন মনির সরকারকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সামনে থেকে বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং বহিস্কৃত সহঃ প্রধান
শিক্ষক মোঃ আশ্রাফ আলি এক সাথে বাড়িতে যাবে বলে সি এন জিতে উঠাইয়া কুমিল্লা ছোটরা একটি
পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ের যায়, যেখানে পূর্ব
থেকে অবস্থান করছিল ৫/৬জন ভাড়া করা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীবাহিনি, তারপর সন্ত্রাসীবাহিনি
অস্ত্র দেখিয়ে বিভিন্ন শারিরীক নির্যাতন ও
মারধর করে তারপর জোরপূর্বক নন জুডিসিয়াল শুন্য স্টাম্পে স্বাক্ষর না করলে মের ফেলার
হুমকি দেয় পায়ব হাজী আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলামকে,
তারপর উপায় না পেয়ে জান বাচাতে স্টাম্পে স্বাক্ষর দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুল
ইসলাম, স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার পর মমিনুল ইসলাম ও মনির সরকারকে ছেড়ে দেয় আনোয়ার হোসেন
এর সন্ত্রাসীবাহিনি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় একটি অভীযোগ দায়ের করলে কোতয়ালি
থানা পুলিশ ২০ জানুয়ারি বুধবার আসামি আনোয়ার হুসেনকে আটক করে এবং সাথে থাকা শুন্য
স্ট্যাম্পগুলো উদ্দ্বার করে এর পর এস আই মাজেদুল ইসলাম আসামিকে আদালতে প্রেরন করে।