20 June 2020

করোনা ভাইরাসের ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে চলতি বছর,আগামী বছর ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদিত হবে

চলতি বছরই করোনা ভাইরাসের ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে। এছাড়া আগামী বছর ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদিত হবে, আশা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর রয়টার্স।

সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ভ্যাকসিন অনুমোদনের পর প্রথম ডোজ কাকে দেয়া উচিৎ, সেটা সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার জন্য পরিকল্পনাও শুরু করেছে ডব্লিউএইচও। প্রথমে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা চিকিৎসক, বয়স্ক বা অসুস্থ ব্যক্তি এবং কারাগার বা কেয়ার হোমের মতো উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকির স্থানগুলোতে কাজ করা কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। 

তিনি বলেন, আমি আশান্বিত, আমি আশাবাদী। তবে ভ্যাকসিনের উন্নয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া ও কর্মযজ্ঞ, এটা অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই আসে। আশার বিষয়টি হলো, আমাদের অনেকগুলো ভ্যাকসিন ও প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ চলছে। তাই প্রথমটি যদি ব্যর্থও হয় বা দ্বিতীয়টিও ব্যর্থ হয়, তারপরও আমাদের আশা হারানোর কারণে নেই। আমাদের হাল ছেড়ে দেয়া উচিত নয়।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ রোধ করা যাবে এ আশায় বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন এখন মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইতিমধ্যে অনেক দেশ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমাণের আগেই ডোজ অর্ডার দেয়ার জন্য ওষুধ সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি শুরু করেছে। 

স্বামীনাথন এ বছরই ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ‘আশাবাদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া ২০২১ সালে পৃথক তিনটি ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ প্রাপ্তির আশাকে ‘বিগ ইফ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ডব্লিউএইচও’র এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত সংগৃহীত জিনগত বিশ্লেষণের তথ্য-উপাত্ত দেখিয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অসুস্থতার তীব্রতাকে পরিবর্তন