লাখো মানুষের উপস্থিতিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা হয়। প্রথমে তার জানাজা জাতীয় ঈদগাহে করার ঘোষণা দেওয়া হলেও অনুমতি না পাওয়ায় বায়তুল মোকাররমে করার সিদ্ধান্ত হয়। জানাজার পর আশুলিয়া বেড়িবাঁধসংলগ্ন ধউর গ্রামে অবস্থিত সুবহানিয়া মাদ্রাসায় তাকে দাফন করা হবে।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালেচিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর হোসাইন কাসেমী রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মারা যান। তার প্রেস সচিব মুফতি মুনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নানা রোগে আক্রান্ত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী কয়েকদিন ধরে ইউনাটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লামা কাসেমীকে গত ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্ট হওয়ায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
কাসেমীর সর্দি-ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশনসহ বার্ধক্যজনিত একাধিক রোগ রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে কাসেমীর শারীরিক অবস্থা অস্থিতিশীল ও অবনতির দিকে যাচ্ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডসি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেওয়া হয়েছিলো। সন্ধ্যায় অবস্থা খারাপের দিকে গেলে সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।
কাসেমীর ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এসেছে বলেও জানান মুনির আহমেদ। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
নূর হোসাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। সংগঠনের আমির আল্লামা আহমদ শফির মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বর নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আল্লামা বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়াও তিনি জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার মুহতামিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, বেফাকের সহসভাপতি ও আল-হাইয়া বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছিলেন।