আটকের পর দেখা গেছে, সাহেদের গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লেগে ছিল কাদা। কোমরে বাঁধা ছিল পিস্তল।
রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন কখনও রাজনীতিবিদ, কখনও ব্যবসায়ী কিংবা সাংবাদিক পরিচয় দেয়া সাহেদ। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোনও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া দেননি। এরমধ্যে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাহেদের পিতা। কিন্তু সাহেদ প্রকাশ্যে আর আসেননি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে বলা হচ্ছিল সাহেদ আত্মসমর্পণ না করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। সেজন্য সবোর্চ্চ সচেষ্ট আছেন তারা। মঙ্গলবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যমুনা নিউজকে জানান, সাহেদ দেশ ছাড়ার চেষ্টা করতে পারেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় বিশেষভাবে তৎপর আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সেদিন রাতেই গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজকে। তারপর থেকে যেকোনো সময় সাহেদকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন গুঞ্জন জোরালো হতে থাকে। সাহেদকে গ্রেফতারে বিশেষ তৎপর ছিল র্যাবের ইন্টেলিজেন্স।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল। এর আগেও একবার একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছিলো। বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
সাহেদের কাছ থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে র্যাব। নীল রঙের শার্টের ওপর কালো বোরকা পরে ছিলেন সাহেদ।
করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে গত ৮ জুলাই মামলা করে র্যাব। উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।
এর আগে, গত ৬ জুলাই সোমবার র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রিজেন্ট হাসপাতালের দুটো শাখায় (উত্তরা ও মিরপুর) অভিযান চালায়। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে শাখা দুটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই বিকেলে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব।